নির্বাচনের আগে বিক্ষোভ-সহিংসতায় ইইউর উদ্বেগ
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইইউ দূতাবাস আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক টুইটে জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো কূটনৈতিক চর্চার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইইউ বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা বৃদ্ধি এবং পরবর্তী সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের ১৫তম বার্ষিকী। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো স্বাধীনতা নেই।’
১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গণতন্ত্র দিবস এবং প্রতিদিন, আসুন আমরা সর্বত্র সকল মানুষের নিরাপদ স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার কাজে যোগ দিই।’
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টা দিন দিন আরও নির্লজ্জভাবে বাড়ছে। মৌখিক হামলা থেকে শুরু করে অনলাইন নজরদারি ও আইনি হয়রানি, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এগুলো বাড়ছে।’
জাতিসংঘের প্রধান আরও বলেছেন, ‘গণমাধ্যম কর্মীরা সেন্সরশিপ, আটক, শারীরিক সহিংসতা ও এমনকি হত্যার সম্মুখীন হচ্ছে।’
গুতেরেস বলেন, ‘এখনই উদ্বেগ প্রকাশের সময়। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মানবাধিকার যে পরস্পর নির্ভরশীল এবং পারস্পরিকভাবে তা শক্তিশালী হয় তা নিশ্চিত করার এখনই সময়। এখনই সময় সাম্য, অন্তর্ভুক্তি ও সংহতির গণতান্ত্রিক নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর। যারা আইনের শাসন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সকলের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিতের প্রচার করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর।’