নিয়োগের পরে যা বললেন নতুন সিইসি ও দুই ইসি
সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্টার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। তবে, এ দায়িত্ব পালন করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।’
আজ শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে চারজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগের পর এনটিভি অনলাইন নতুন সিইসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সব দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করব। যদিও এ কাজটা অনেক কঠিন। আগে শপথ গ্রহণ করি। তারপর বাকি কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে, আমাদের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের যা যা করার থাকে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার ইসির সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘দায়িত্বটা অনেক বড় ও চ্যালেঞ্জের। এখানে সবার সহযোগিতা লাগবে। পাঁচজনের পরে হয়তো দায়িত্ব। কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে সবাইকে দরকার। সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও সুধিসমাজসহ সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।’
কথা প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমি ভাবিইনি, আমি কমিশনার হব। আমি ভেবেছিলাম, যাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল; তারাই হবেন। আমি তো কোনো সিনেই ছিলাম না। আমাকে নিয়ে আলোচনাও ছিল না।’
মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি হয়তো তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে আমাকে ভালো মনে করেছেন, দায়িত্ব দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব সেটাই পালন করার চেষ্টা করব। সবাই মিলেই কাজ করতে হবে। আইন ও বিধি অনুযায়ী আমাকে সংবিধান যে ক্ষমতা দিয়েছে, নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।’
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতির প্রত্যাশা ও আপনাদের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী, এমন প্রশ্নে আরেক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগে সবাই (পাঁচ কমিশনার) একসঙ্গে বসি। আমরা আলাপ-আলোচনা করব। আমাদের সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের করণীয় কী। জাতির প্রত্যাশা পূরণ করা নিয়েও কথা বলব। এককভাবে তো আর কমিশন না। পাঁচজন মিলে কমিশন। সুতরাং, পুরো কমিশনের প্রতিক্রিয়া কি, সেটা জরুরি। তবে, আমার ওপর আরোপিত দায়িত্ব আমি পালনের যথাযথ চেষ্টা করব।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ রোববার
আগামীকাল রোববার নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল সাড়ে চারটায় তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।