নেত্রকোনার পৌর মেয়রকে হাইকোর্টে তলব
নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়রকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ মে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। পৌর সুপার মার্কেট সংক্রান্ত একটি রিটের মামলার চূড়ান্ত শুনানির সময় আজ বুধবার (১৬ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. অনিক হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম জানান, ২০১২ সালে নেত্রকোনা পৌর সুপার মার্কেটের একতলা মার্কেট ভবনটি ভেঙে চারতলা করা হবে মর্মে ঘোষণা দিয়ে বরাদ্দ গ্রহীতা-ব্যবসায়ীদেরকে ভবন খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে বরাদ্দ গ্রহীতাদের পক্ষে লিপি হক ও অন্যান্যরা ওই বছরই রিটটি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, যেহেতু পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভেঙে চারতলা করবে এবং রিট আবেদনকারী-বরাদ্দ গ্রহীতাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিট আবেদনকারীদেরকে ভবনটি ৩০ দিনের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নতুন ভবনের নিচতলায় এবং দ্বিতীয় তলায় দোকান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তৌফিক ইনাম আরও জানান, রিট আবেদনকারী ও বরাদ্দ গ্রহীতারা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে দোকান খালি করে দিলেও বিগত ১০ বছরে পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেটের নতুন ভবন করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং, পুরাতন ভবন ভেঙে জায়গাটি খালি ফেলে রেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে অসহায় বরাদ্দ গ্রহীতারা দোকান তথা ব্যবসা হারিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। এই কারণে বরাদ্দ গ্রহীতা লিপি হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম আজাদ পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ও সে অনুযায়ী হাইকোর্টের রায় প্রতিপালন না করায় ২০১৯ সালে আরেকটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানির সময়ে পৌর মেয়রকে তলব করেন হাইকোর্ট।