নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি, স্থবির নৌ-চলাচল

Looks like you've blocked notifications!

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক দেওয়াসহ ১০ দাবিতে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে প্রায় ২০ হাজার নৌযানের দুই লাখের বেশি শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করছেন।

বেশ কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, দাবি উত্থাপন ও আন্দোলন কর্মসূচির পরও কোনো সুরাহা হয়নি। নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বলছেন, তাইতো বাধ্য হয়ে ১০ দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।

এদিকে, নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ফলে শনিবার মধ্যরাত থেকে বরিশাল নদীবন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীবন্দর ও লঞ্চঘাট থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। রোববার সকালে অনেক যাত্রীই ঘাটে এসে হতাশা প্রকাশ করেন লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেখে।

ভোলায়ও লঞ্চঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে তাদের। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য পরিবহণের কাজও বন্ধ রাখায় প্রভাব পড়ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজারে। নৌযান ধর্মঘটে স্থবির খুলনার সকল ঘাট ও রুজভেল্ট জেটি। দাবি আদায়ে সোচ্চার শ্রমিকরা।

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, মালিকপক্ষ তাদের নৌযানের পণ্য পরিবহণের ভাড়াও বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ নৌযান শ্রমিকদের।