পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসল, দৃশ্যমান ৫৪০০ মিটার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/11/06/1111111.jpg)
দ্বিতীয় দিনের চেষ্টায় নির্ধারিত তারিখের দুদিন পর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান ‘ওয়াব-বি’। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে এই স্প্যান বসানো হয়।
এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর পাঁচ হাজার ৪০০ মিটার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। আর মাত্র পাঁচটি স্প্যান (৭৫০ মিটার) বসালে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর পদ্মা সেতুর ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়। মাত্র ছয় দিনের মাথায় বসানো হলো স্প্যানটি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ওজন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’র মাধ্যমে তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৬তম স্প্যানটি নির্ধারিত ২ ও ৩ নম্বর পিলারের কাছে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিয়ে রাখা হয়। স্প্যান বসানোর সব কারিগরি কাজ শেষ না হওয়ায় গতকাল স্প্যানটি বসানো যায়নি।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/11/06/untitled-1.jpg)
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের জানিয়েছেন, গত মাসে তাঁরা চারটি স্প্যান বসাতে পেরেছেন, যা পদ্মা সেতুর ইতিহাসে এক মাসে বসানো সবচেয়ে বেশি স্প্যান। চলতি মাসেও চারটি স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও সর্বশেষ আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪১ নম্বর স্প্যানটি (স্প্যান ২-এফ) বসানোর কথা রয়েছে। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে।
৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।