পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে হত্যা, গণপিটুনিতে প্রেমিকের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়া সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় নাছরিন আক্তার মৌসুমি নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজনের গণপিটুনিতে কথিত প্রেমিক মো. রাসেলেরও মৃত্যু হয়। আজ রোববার সকালে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় নাছরিনকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর ছেলে গুরুতর আহত হয়। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত নাছরিন এক প্রবাসীর স্ত্রী ও রাসেল একই এলাকার বলি মোল্লাবাড়ির ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। খবর পেয়ে দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাসেলের সঙ্গে নাছরিনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাসেলের মোবাইল ফোনে নাছরিনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ছিল। কয়েক মাস আগে রাসেল তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন অন্যত্র বিক্রি করে দেন। ওই ফোনে থাকা নাছরিনের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নাছরিনের সঙ্গে রাসেলের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাছরিনকে রাসেল হত্যা করতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
নাছরিনের মেয়ে সাংবাদিকদের জানায়, রাসেল তার মাকে ফোন করে প্রায়ই বিরক্ত করত। তাদের নতুন বাড়িতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাসেলকে অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে সে খারাপ ব্যবহার করত। চুরির ঘটনা নিয়েই বসতঘরে ঢুকে রাসেল তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয়।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।