পরিকল্পিত জনসংখ্যা সুখী-সমৃদ্ধ দেশগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আগামী ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২২ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘৮০০ কোটির পৃথিবী : সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। আয়তনের তুলনায় দেশের জনসংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সীমিত রাখতে পরিকল্পিত পরিবার গঠন অত্যন্ত জরুরি। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হলে জনসংখ্যাকে কাক্সিক্ষত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের টেকসই ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে।’
‘টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি টেকসই ও প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়তে দেশের সকল সক্ষম দম্পতির কাছে তাদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশুস্বাস্থ্য তথ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিকল্পিত জনসংখ্যা গড়তে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিদ্যমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। দেশের টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সবার সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত হবে। এলক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয়ভাবে ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান সেবা অবকাঠামোসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে—এ প্রত্যাশা করি।’