পাওনা ২০০ টাকা না পেয়ে অটোরিকশা চালককে ‘শ্বাসরোধে হত্যা’
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় লোকমান হোসেন (৬৩) নামের এক বৃদ্ধকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা ২০০ টাকা না পাওয়ায় খোরশেদ নামের এক অটোরিকশা মালিক ওই বৃদ্ধকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লোকমান চররুহিতা গ্রামের চৌকিদার বাড়ির বাসিন্দা। অভিযুক্ত খোরশেদ একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃদ্ধ লোকমান ভাড়ায় খোরশেদের অটোরিকশা চালাতেন। কিছুদিন আগে তিনি খোরশেদের অটোরিকশা চালানো বন্ধ করে দেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে খোরশেদের ২০০ টাকা পাওনা ছিল। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার চররুহিতা গ্রামে লোকমানের গতিরোধ করে পাওনা টাকা দাবি করেন খোরশেদ। টাকা পরে দেওয়ার কথা বলতেই খোরশেদ তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন। একপর্যায়ে খোরশেদ বুকের ওপর উঠে গলা টিপে লোকমানকে হত্যা করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে খোরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে লোকমানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লোকমানের চাচাতো ভাই মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ২০০ টাকা পেতেন খোরশেদ। এর মধ্যে রাস্তায় থামিয়ে খোরশেদ টাকা চাইলে আমার ভাই শুক্রবার ও সোমবার ১০০ টাকা করে দিয়ে পরিশোধ করবে বলে জানায়। কিন্তু খোরশেদ এতে রাজি না হয়ে আমার ভাইকে গলা টিপে হত্যা করে।’
নিহত লোকমানের ছেলে রাকিব হোসেন বলেন, ‘খোরশেদ পাওনা টাকার জন্য নির্মমভাবে মেরে গলা টিপে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি খোরশেদের বিচার চাই।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২০০ টাকা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লক্ষ্মীপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’