পাবনায় থানার ছাদে মিলল এসআইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ
পাবনার আতাইকুলা থানার ছাদ থেকে হাসান আলী (২৭) নামের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ভাষ্যমতে, পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও ঋণের কারণে নিজের মাথায় নিজেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে হাসান আলী এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আতাইকুলায় থানায় এসআই হিসেবে যোগ দেন। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, এসআই হাসানের বাবা একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। হাসান আলীর বাবা পারিবারিকভাবে ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে হাসান সব সময় টেনশন করতেন। আজ সকালের কোনো এক সময় থানার ছাদের ওপর নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন হাসান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে হাসানের ব্যবহৃত মোবাইলের সিমটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে; যেখানে পরিবারের নানা অশান্তি ও ঋণের কথা লেখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনো বিষয়ে অভিমানের বশে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
মাসুদ আলম আরও জানান, গতকাল রাতে খাবার খেয়ে থানার ব্যারাকের একটি কক্ষে ছিলেন এসআই হাসান আলী। রাত দেড়টার দিকে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য থানার ছাদে যান। সেখানে তিনি রাতের কোনো এক সময় তাঁর নামে ইস্যু করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে থানার ছাদে তাঁর গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এসআই হাসান আলীর মরদেহ ক্রাইম সিন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। সিআইডির তদন্ত দলের আলামত গ্রহণ শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাসুদ আলম।