পাবনায় সাংবাদিকের বাড়ির সামনে বোমাসদৃশ বস্তু
পাবনার বেড়ায় সাংবাদিকের গ্রামের বাড়ির সামনের সড়কে বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এলাকাটি কর্ডন করে রেখেছে।
গতকাল বুধবার রাতের কোনো এক সময় দৈনিক যুগান্তরের পাবনার স্টাফ করেসপনডেন্ট ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির লোকজনকে জানানোর পর গেট খুলে তারা লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমাসদৃশ তিনটি বস্তু দেখতে পায়।
বাড়িতে বসবাসরত সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতারের বড় ভাই (অব.) সেনা কর্মকর্তা শামসুর রাহমান মিয়া (৭৫) আজ সকালে জানান, অবসরের পর তিনি সস্ত্রীক গ্রামের এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তার অপর চার ভাই চাকরি সূত্রে ঢাকা, পাবনা ও রাজশাহীতে থাকেন। তার একমাত্র ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। তার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী নিরিবিলি বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ হওয়ার মতো কোনো কারণও নেই। অথচ তাদের বাড়িতে কে বা কারা বোমাসদৃশ বস্তু রেখে গেছে।
শামসুর রাহমান মিয়া আরও জানান, আবুল কাশেম নামের তার এক প্রতিবেশী সকালে প্রথমে তা দেখেন। তার ডাকেই তিনি গেট খুলে ঘরের পাশে তিনটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান। এতে তিনি চরম আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি তার গ্রামের বাসিন্দা ও পুরান ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এ এম রফিকুল্লাহ ও পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে আমিনপুর থানার সহকারী ইপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে আসেন। মোহাম্মদ আলী জানান, ওই বাড়ির গেটের পাশে রাখা বোমাসদৃশ বস্তু তিনটি কী, তা তারা বুঝতে পারছেন না। এ বিষয়ে বোমা এক্সপার্টরা আসার পর তারা বলতে পারবেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, সকালে খবর পাওয়ার পরই তিনি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগামী কাল শুক্রবার ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয় দল পাবনা এসে এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হওয়া উচিত।