পাবনা জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে ৫ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি
দুই বছরের মাথায় আবারও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোন্দলে জর্জরিত এই কমিটি ভেঙে দিয়ে আবারও ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কমিটির অনুমোদন দেন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আগের কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে। নতুন এ কমিটিতে আব্দুস সামাদ খান মন্টু, আনিসুল হক বাবু ও আবু ওবায়েদ শেখ তুহিনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আগের কমিটি তেমন কাজ করার সুযোগ পায়নি। যদিও আমরা উপজেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছিলাম। কিন্তু পুর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারিনি। এবার কেন্দ্রীয় কমিটি যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
দায়িত্ব পাওয়া সদস্য সচিব ও পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে অতীতের যেকোনও কমিটির তুলনায় এবারের কমিটি সুন্দর হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগের উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটা কমিটিই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের ভোটের নির্বাচিত করবো। পরিশেষে ভোটের মাধ্যমেই জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে আমাদের এই আহ্বায়ক কমিটির কাজ শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাইয়ে পাবনা জেলা বিএনপির বহুল আলোচিত-সমালোচিত তৎকালীন কমিটি ভেঙে দিয়ে ৪৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ওই কমিটিও জেলার নেতাকর্মীদের আলোর মুখ দেখাতে পারিনি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য দলকে শক্তিশালী করতে যোগ্য, সাহসী, নিবেদিত ও সংগ্রামী নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠায় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিন মাসের মধ্যে উপজেলা, থানা ও পৌর এলাকায় প্রতিনিধিদের সম্মেলনের মাধ্যমে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পেরিয়ে দুই বছরেও কোনো উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটি দিতে পারেন তারা। পুনর্গঠন তো দূরের কথা আগের মতোই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে জেলা আহ্বায়ক কমিটি।
সাবেক সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করায় দলে আগের মতই স্থবিরতা থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে দলের ডেডিকেটেড কর্মীদের মুল্যায়ন করা উচিৎ ছিল।