হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন

পুলিশের ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের ফাইল ছবি

খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে পুলিশের ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে এই মামলাটি করেন নিহত জনির বাবা মো. ইয়াকুব আলী। 

বাদীর আইনজীবী আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি শুনেছেন এবং তা গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন। 

আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ‘মামলায় ডিবি রমনা জোনের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (ইনেসপেক্টর) ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, ডিবির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায়, ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।’ 

নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে ২০ জানুয়ারি ভোর ৪টা পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে ছিলো জনি। এ সময় তার মৃত্যু হয় বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে।

আদালতের সরকারি কোঁসুলি তাপস কুমার পাল বলেছেন, বিচারক আদেশের পরে এই মামলাটি আমলে নেওয়া হবে কিনা জানা যাবে। এ ছাড়া ঘটনার আট বছর পরে মামলাটি করা হয়েছে।