‘প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শোনার পর লঞ্চকর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে জানা যাবে’
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম সচিব মো. তোফায়েল আহম্মেদ জানিয়েছেন, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে দিয়াকুল নামক স্থানে এম ভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাচ্ছে না।’
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত সাত সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি বরগুনা সার্কিট হাউসে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের জবানবন্দী নেওয়ার আগে আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান।
এ সময় অনুসন্ধান কমিটির প্রধান আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বেশির ভাগ যাত্রীর বাড়ি বরগুনায়। এ কারণে লঞ্চের প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বরগুনায় আসতে হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সরাসরি শুনে ঘটনার সময় লঞ্চে কর্মরত স্টাফদের ভূমিকা কী ছিল, তা আমরা নির্ণয় করতে পারব।’
এ সময় অনুসন্ধান কমিটির মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর আহমেদ ভুইয়া, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশীদ ও বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।