প্রথম ডোজ টিকাদানের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
দেশে নভেল করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় বৃদ্ধির বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
এ ছাড়া আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা হবে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে বিপুল মানুষকে টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ বিপুল মানুষের ভোটার আইডি কার্ড নেই। কার্ড না নিয়ে এলেও টিকা দেওয়া হবে। ইপিআই কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।’
টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের উপস্থিতি কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, আজ অনেকেই টিকা নিতে পারবেন না।’
পরে টিকা নেওয়ার সময় বাড়ানো হবে কি না—এমন প্রশ্নে লোকমান বলেন, ‘আমাদের কাজ টিকা দেওয়া। অর্থাৎ যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের টিকা দেওয়া। আমরা সারা দিন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করব। এরপর সময় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, আমরা সে বিষয়ে ভাবব। অর্থাৎ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমরা দেশের সব জায়গায় খবর নিয়েছি। সব জায়গায় বিভিন্ন কারণে যাঁরা টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা টিকা নিতে আসছেন। বিজিএমইএ, মিল মালিক, দোকান মালিক সমিতি, কর্মচারী সমিতি, বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে সবাইকে আজ টিকা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছি। তাঁর ফলাফল আজ আমরা কেন্দ্রে দেখতে পাচ্ছি।’
সচিব বলেন, ‘টিকা নিতে আসা শ্রমিক-কর্মজীবীদের টিকাগ্রহণ পর্যন্ত সময় তাঁদের ওয়ার্কিং আওয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এতে উৎসাহ আরও বেড়েছে।’
লোকমান হোসেন আরও বলেন, ‘মানুষের প্রয়োজনীয়তা বুঝে প্রথম ডোজের জন্য এক কোটি টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেওয়া হবে আজ। বিরতিহীনভাবে আজ চলবে এ টিকা কার্যক্রম।’
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানিয়েছিলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার শেষ দিন। এরপর আর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে না।