প্রবাসী শ্রমিকদের বিমানের ভাড়া কমাতে আইনি নোটিশ
বিদেশ যেতে চাওয়া শ্রমিকদের বিমানের ভাড়া হাতের নাগালে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সিলেটের কানাইঘাটের আট ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রেজিস্ট্রি ও ডাকযোগে গতকাল মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।
প্রবাসী কল্যাণসচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতির কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে অস্বাভাবিক বিমান ভাড়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কেন যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় দুই হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দুই লাখ কোটি টাকার বেশি। এ আয় ২০১৯-২০ অর্থবছরের এক হাজার ৮০৩ কোটি ডলারের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। গত এক বছরে প্রবাসীরা যে পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন, তা দিয়ে দেশে সাতটি পদ্ম সেতু বানানো সম্ভব।
নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়; বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সময় নিউজের একটি সংবাদে দেখা যাচ্ছে ‘বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪ গুণ’। ঢাকা থেকে দুবাইয়ের আগের বিমান ভাড়া ৩০ হাজার টাকা হলেও এখন তা ৯০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ঢাকা থেকে সৌদি আরব রুটের ৪৫ হাজার টাকার বিমান টিকেট এখন এক লাখ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।
বিমানে ভ্রমণকারী যাত্রীদের করা কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে যাতে দেখা যায়, টিকিটের সংকট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফ্লাইটে বহু আসন ফাঁকা যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, টিকিট সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশ বিমান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টিকিট কারসাজির মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের কারণে একদিকে প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না অপরদিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিকিটের উচ্চমূল্যের কারণে শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া নিয়ে নোটিশে বলা হয়, অনেক শ্রমিক তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। ফলে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজমান।