প্রার্থী হতে ভোটার এলাকা পরিবর্তন
এ কে এম আতাউর রহমান। বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে। এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগের এই নেতা। এবার নির্বাচন করতে চান উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভায়। শুধু এ কারণেই কয়েক মাস আগে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে পৌর এলাকার ভোটার হয়েছেন।
আতাউর রহমান এতোদিন ভোটার ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের। মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনও করেছেন। এবার নির্বাচন করলে ইউনিয়ন ও উপজেলা মিলে এটি হবে তাঁর ১১তম নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদে ছয়বার ও উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন চারবার।
একেএম আতাউর রহমানের বয়স প্রায় ৭৬ বছর। তিনি ছয়বার রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর ১৯৯০ সালে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেন। দুটি নির্বাচনেই তিনি হেরে যান। পরে অবশ্য ২০০৯ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হন। প্রত্যাহারের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে তিনি জনসভা করে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেন। তবে তাঁর প্রতীক ছিলই। তাতে কিছু ভোটও পড়েছিল। উপজেলায় আর মনোনয়ন পাওয়ার আশা না দেখে এবার তিনি কাঁকনহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে চান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের গোদাগাড়ী উপজেলা ও কাঁকনহাট পৌরসভা কমিটি তাঁকে পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করেনি। তারপরও তিনি মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে কাঁকনহাট পৌরসভার নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মেয়র আব্দুল মজিদসহ তিনজনের নাম মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ। এই তিনজনের মধ্যে একেএম আতাউর রহমানের নাম নেই।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশীদ বলেন, ‘এ কে এম আতাউর রহমান উপজেলা কমিটির কাছে সুপারিশ চাননি। তারাও করেননি। আতাউর রহমান অনেকদিন ধরেই তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেক কিছু করে আসছেন।’
কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির বলেন, ‘এ কে এম আতাউর রহমান জীবনভর নির্বাচনই করে যাচ্ছেন। উপজেলা ছেড়ে এবার পৌরসভায় নির্বাচন করার জন্য নতুন করে ভোটার হয়েছেন। এটা তাঁর নেশা। তিনি এখনও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেননি।’
তবে আতাউর রহমান বলেন, ‘কাঁকনহাট পৌর এলাকার লোকজনের অনুরোধে তিনি প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।’