প্লটে অনিয়ম : রাজউকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে
পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সদস্য এস ডি ফয়েজ, এ কে এম ওয়াহিদুল ইসলাম এবং পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ (রাসেল) ও আশফাক আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আর এস ডি ফয়েজ ও এ কে এম ওয়াহিদুল ইসলামের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে’ যোগসাজশে অবৈধভাবে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দুটি প্লট বরাদ্দ দেন।
অথচ তাঁরা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয় বলে এজাহারে বলা হয়। সে কারণে বোর্ডের সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক সদস্য এস এম জাফর উল্লাহ, এইচ এম জহুরুল হক ও রেজাউল করিম তরফদার।