ফরিদপুরে ডিক্রির চরে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস
ফরিদপুরে পদ্মা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের সিসি ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নে বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট অংশের সিসি ব্লক ধসে গেছে।
আজ বুধবার জরুরিভাবে ভাঙনের ব্যাপকতা রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় এবং গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই দফা ভাঙনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই তীর সংরক্ষণ বাঁধ। এই ভাঙনের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিক্রির চর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরে ওবায়দুলের বাড়ি সংলগ্ন তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এদিকে পদ্মা নদীর অপরপাড়ে বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, নদীর স্বাভাবিকতা না থাকায় প্রতি বছরই বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ৩০ বছরে ফরিদপুরের মানচিত্র থেকে ডিক্রির চরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, বসতি ও কৃষি জমি হারিয়ে গেছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে কোনোমতে বাস করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও ভাঙনকবলিত এলাকাবাসীর দাবি, আমরা চাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই নদী ভাঙন রোধ করা হোক।
স্থানীয় ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী ধসের ঘটনাটি আমাকে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। ওই রাতেই কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয় এবং আজ থেকে ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের গভীরতা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর অপর পাড়ের ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তো নদী থেকে জেগে উঠা বালু চর। এখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে কোনো লাভ হবে না। পরবর্তী সময়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।