ফিফা বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ফিফা বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের পর কাতারের আমির শেখ তামিম ইবনে হামাদ আল থানি ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাঈদ আল কাহতানি গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাতারের রাষ্ট্রদূত বৈঠকের সময় কাতারের আমিরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ গ্রহণের চিঠিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কাতারের আমির বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী।
ড. মোমেন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি গত মাসে দোহায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনের জন্য কাতারকে ধন্যবাদ জানান।
এফওসি জনশক্তি নিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কাতারের আরও বিনিয়োগের মতো বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনার জন্য গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশংসা ব্যক্ত করেন।
কাতারের রাষ্ট্রদূত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দোহা এফওসি এর ফলাফলে সন্তুষ্ট এবং উভয় পক্ষই দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের লক্ষ্যে কাজ করছে।
কাতারে এবং কাতারের নেতৃত্বের সঙ্গে তার পুরানো স্মৃতি স্মরণ করে ড. মোমেন গত দুই দশকে একটি আধুনিক, উন্নত এবং অগ্রগামী দেশে রূপান্তরিত করার জন্য কাতারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন এমন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিককে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মন্ত্রী কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে যেখানে কাতারের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারে এবং রাষ্ট্রদূতকে এলএনজি এবং বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ খোজার আহ্বান জানান।
জবাবে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্ষম ও সাহসী নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শান্তি অন্বেষণের প্রশংসা করেন।
আগামী নভেম্বরে দোহায় বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজনে দেশটির যুগোপযোগী প্রস্তুতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফিফা বিশ্বকাপের একটি রেপ্লিকা হস্তান্তর করেন ।