‘বছর বছর বাড়ে লঞ্চের ভাড়া, যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা এখনও সেকেলে’
বছর বছর লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হলেও যাত্রীসেবা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা এখনও সেকেলে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির।
ঢাকা থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাওয়া পথে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধ যাত্রীদের দ্রুত ঢাকায় এনে চিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে ‘জীবন বাচাঁতে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে আনা, দগ্ধ ও আহত যাত্রীদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা, এবং নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে যাত্রীসাধারণের অর্থে গঠিত নৌ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।’
এ ছাড়া ‘লক্কড়-ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সার্ভে সনদ এবং রুট পারমিট ইস্যুর কারণে এ হতাহতের দায়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ এবং সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি’ জানিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাসের মতো লঞ্চেও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ইঞ্জিন, বডি নিয়ে অসংখ্য লঞ্চ যাত্রীর জীবন নিয়ে খেলছে।’
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘বছর বছর লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হলেও যাত্রীসেবা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা এখনও সেকেলে রয়ে গেছে। এতে করে নৌপথের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত জীবন-মৃত্যু হাতে নিয়ে এসব লঞ্চে যাতায়াত করছে।’
বিবৃতিতে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে নৌ-নিরাপত্তায় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।