বরিশালে আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলির হিসাব মেলেনি
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলাচেষ্টার সময় আনসার সদস্যরা কতগুলো গুলি ছুড়েছেন, তার হিসাব মেলেনি ছয় দিনেও।
আজ মঙ্গলবার ঘটনার পর পরই গঠিত তদন্ত কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৮ আগস্টের বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সেই ঘটনায় ছোড়া গুলির হিসাব দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কেউ।
আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলিতে প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। গুলিতে চোখ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা। মামলা হয়েছে মেয়রসহ ৬০২ জনের বিরুদ্ধে।
বরিশাল আনসার ও ভিডিপির জেলা কমাডেন্ট আম্মার হোসেন বলেন, ‘গত ১৮ আগস্ট বুধবার রাতের ঘটনাটি ছোটখাটো কোনো ঘটনা নয়; এটি অনেক বড় ঘটনা। ফলে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা নিয়ে চটজলদি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ঘটনার পর পরই বরিশাল আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলের মধ্যে ওই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ করতে না পারায় তারা আজও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, আরও দুই দিন তাদের সময় লাগবে। আনসার সদস্যরা কতগুলো গুলি ছুড়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নই। আনসার সদস্যরা কার নির্দেশে গুলি ছুড়েছিলেন-এসব বিষয় স্পষ্ট হতে ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
আম্মার হোসেন জানান, ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন আনসার সদস্য এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ফারুক গাজীর পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আহত আরেক আনসার সদস্য মাহতাব বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সদস্যরা একটি গুলিও করেনি।’