বাংলাদেশে প্রবেশে বিধিনিষেধ শিথিল বেবিচকের
বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। যাত্রী সংখ্যার বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে থাকছে না আরটি পিসিআর পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা। তবে, দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীকে অনলাইনে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। আর সেটি করতে হবে প্রবেশের তিন দিন আগেই।
গতকাল বুধবার বেবিচক তার ওয়েবসাইটে এক এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ বিধিনিষেধ জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা জারি না করা পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব যাত্রী করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে না। তবে সেক্ষেত্রে যাত্রীদের টিকা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
আর যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোনো টিকা নেননি, তাঁদের বাংলাদেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। ১২ বছরের নিচে শিশুদের কোনো করোনা টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।
বিধিনিষেধ অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যাত্রীরা যে দেশে যাবেন, সেখানকার নির্দেশনা অনুসরণ করলেই চলবে।
‘বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের তিন দিন আগেই হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে’ উল্লেখ করে ওই নির্দেশনায় বলা হয়, healthdeclaration.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে যাত্রীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণ করার পর কিউআর কোডযুক্ত একটি হেলথ কার্ড আসবে। সেটি প্রিন্ট করে কিংবা সফট কপিটি (মোবাইলে) নিজের কাছে রাখতে হবে।
কোনো দেশে ট্রানজিট হয়ে বাংলাদেশে এলে ট্রানজিট এয়ারপোর্টে চেক-ইন করার আগে নতুন করে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। বোর্ডিংয়ের সময় এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের হেলথ কার্ড আছে কি না, তা যাচাই করবে। দেশে আসার পর বিমানবন্দরে যাত্রীকে কিউআর কোডযুক্ত হেলথ কার্ড বা মোবাইলে সফট কপি দেখাতে হবে।