বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে গণসংহতির সাত প্রস্তাবনা
গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। এই বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সাতটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আন্দোলনের কথা বলেছেন তিনি।
সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে সাকি বলেছেন, ‘৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা, সব সাংবিধানিক পদে সাংবিধানিক কমিশনের মধ্য দিয়ে নিয়োগ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ গঠন সংসদে, প্রদেশ ব্যবস্থা সামনে নিয়ে আসা এবং সব অগণতান্ত্রিক আইন বাতিল করা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কিংবা আরপিও এই সব আইন, যেগুলো জনগণের ওপর নিপীড়নকারী সেগুলো বাতিল করার কথা বলেছি।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হাতিরপুল রোজভিউ প্লাজায় নিজ কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাকি এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে সাকি বলেন, ‘যারাই ক্ষমতায় থাকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এবং দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য আমরা সংবিধান সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কতগুলো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে, নিম্ন আদালতকে উচ্চ আদালতের অধীনস্থ করতে হবে সব দিক থেকে, তার নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতিসহ। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি করতে হবে এবং জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন করা যাবে না।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে সংলাপে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে জোনায়েদ সাকির সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইমরান জুলহাস নাঈম বাবু, দীপক রায়, মিজানুর রহমান, বাচ্চু ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।