ছাত্ররা অতীতের মতো উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে : জোনায়েদ সাকি
সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘ছাত্ররা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আবারও অতীতের মতো উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ১৩তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে বটতলায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, কারানির্যাতিত পাটকল শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমান, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ ও ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড।
উদ্বোধনী সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে প্রবল স্বৈরাচারী শাসন চলছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জনগণকে বিভক্ত করে এখন পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা জনগণকে বিভক্ত করেছিল, তা এখন আর সেইভাবে কাজ করছে না। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দেখতে পাচ্ছি, এই অবৈধ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এমন এক বাঘের পিঠে চড়ে আছেন, যার পিঠ থেকে নামলেই সেই বাঘ তাদের খেয়ে ফেলবে। আমরা বারবার বলছি, বাংলাদেশে বর্তমান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুধুমাত্র একটি সুষ্ঠু ভোটের আন্দোলন নয়, আমরা আন্দোলন করছি জনগণের স্থায়ী ভোটাধিকারের জন্য।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের অনেক বন্ধু বলেন, আমরা বর্তমানে দ্বিদলীয় বৃত্তের বাইরে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার কাজ করছি। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যারা এই ফ্যাসিবাদের কালে যেকোনোভাবে জনগণকে বিভক্ত করছেন, তারা এই ফাসিবাদের পক্ষে কাজ করছেন।’
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব গণআন্দোলনে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্রদের প্রধান ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ছাত্র ফেডারেশন সবসময় ছাত্রদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের ১৩তম সম্মেলন করছি। আমরা যখন এই সম্মেলন করছি, তখন বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের যে বিক্ষোভ এবং তার অগ্রসেনানী হওয়ার কথা যে ছাত্রদের, তাদের কণ্ঠরোধ করতে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এইভাবে আর বেশিদিন ছাত্রদের কন্ঠরোধ করা যাবে না। যার প্রমাণ আমরা দেখেছি, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে। আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহ্বান জানাই।’