দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে : জোনায়েদ সাকি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা হলো- বাংলাদেশে একটি উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে সুযোগের সমতা তৈরি হবে, সম্পদের বণ্টনে অধিকতর ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে এবং আরও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে উঠবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ)-র উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষা সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক সভায় সাকি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন : দেশি ৮১ পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ‘আপনার মতামত, আমাদের ইশতেহার’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতেই দলের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য সচিব আতিকুল বারী চৌধুরী শিক্ষা সংস্কার ভাবনা তুলে ধরেন।
সাকি বলেন, মানবিক জনগোষ্ঠী তৈরি করা ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা- দুটোই জরুরি এবং বর্তমান সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তা করতে হবে। তিনি বলেন, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত শিশুর শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে হলে যেমন বাজেটের প্রয়োজন আছে, তেমনি শিক্ষাব্যবস্থার নীতি-কাঠামোয়ও পরিবর্তন আনতে হবে।
আরও পড়ুন : নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, দেশবাসীর দোয়া কামনা
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, শিক্ষকদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদাকে একটি সুনির্দিষ্ট অবস্থানে দাঁড় করাতে হবে। শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল থাকা দরকার। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ও মর্যাদার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা ও তাদের কাজের মূল্যায়ন- এই দুটি বিষয়কে একত্রে বাজেট পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে অবকাঠামো ও তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর আধুনিক ব্যবস্থাপনা। এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিলে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)