বিএনপির ৪৩৮ নেতাকর্মীর হাইকোর্টে আগাম জামিন
পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা পৃথক মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪৩৮ স্থানীয় নেতাকর্মীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের পৃথক দুটি দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন দেন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিন আবেদনের শুনানি হয়।
বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও সগীর হেসেন। তাঁদের সহায়তা করেন আইনজীবী এ এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী, সালমা সুলতানা, কে আর খান পাঠান, মাকসুদ উল্লাহসহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে আইনজীবী কায়সার কামাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো অভিযোগে দেশের ১২টি জেলায় করা পৃথক ২৯টি মামলায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের আগাম জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করা হয়।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘বানোয়াট অভিযোগে করা এসব মামলার উদ্দেশ হচ্ছে, স্থানীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করা। মামলার অভিযোগের আইনগত ভিত্তি নেই।’ তিনি বলেন, ‘পৃথক ২৭টি আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৪৩৮ জন নেতাকর্মীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলার দায়রা আদালতে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো অভিযোগে দেশের ১২টি জেলায় করা পৃথক ২৯টি মামলায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের আগাম জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করা হয়।’
জানা যায়, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, মেহেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল ও নেত্রকোনা জেলায় করা পৃথক মামলায় ৪৩৮ নেতাকর্মী হাইকোর্টে হাজির হন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন।