বিশ্বকাপ ফাইনাল কাতারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন শতাধিক পুলিশ মোতায়েন
আর কিছুক্ষণ বাদেই বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে শেষ লড়াই। হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সঙ্গে হবে এই লড়াই। বাংলাদেশে রয়েছে আর্জেন্টিনার বিপুল সমর্থক। ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে ৩৫০ জন পুলিশ সদস্য।
আজ রোববার রাত ৯টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার ম্যাচটি বড় পর্দায় দেখানো হবে। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে আজ রোববার পর্দা নামছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের। ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনার শেষ নেই। এ অবস্থায় খেলা পরবর্তী সমর্থকরা যেন কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়ায়- সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জোরদার করা হচ্ছে জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, জেলার যে কয়টি পয়েন্টে বড়পর্দায় খেলা দেখানো হবে- সেসব স্থানে টহলে থাকবে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া খেলাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে ৩০টি মোবাইল টিমের পাশাপাশি তিন শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে জেলার সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ায় ব্রাজিলের সমর্থকেরা এ ম্যাচে ফ্রান্সকে সমর্থন দিচ্ছেন। এ কারণে ম্যাচটি নিয়ে জেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় খেলা চলার সময় বা শেষ হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমর্থকেরা যাতে কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়াতে পারেন, সে জন্য ৩৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ ঘিরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল জেলা পুলিশ। মূলত ফাইনাল ম্যাচের আগেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে হামলা- পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যকার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।