বিয়ে করলো ছেলে, সাজা হলো বাবার
ঘরোয়াভাবেই করা হয় বিয়ের আয়োজন। রান্নাবান্নাও শেষ। খাওয়ার দাওয়ার আগেই সেখানে হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন। বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করা হলো। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বরের বাবাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ইউএনও।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও মাহফুজা মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। এ সময় মেয়ের বয়স কম জানতে পেরে বিয়ে বন্ধ করে দেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাল্যবিবাহ আইনে তাৎক্ষণিক বরের বাবা মো. আবুল কালামকে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা প্রতিবন্ধী ও মা না থাকায় তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের সহায়তা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন ইউএনও।
এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রশীদ, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শাহ আলমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মুহাম্মদ রশীদ জানায়, ওই মেয়ের বয়স ১৫ বছর এবং ছেলের বয়স ২২ বছর। নানা কারণে মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে আর সুযোগ পায়নি। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসন ও পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।