বিয়ে হওয়ায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না এক মাদ্রাসার ১৫ ছাত্রীর
নাটোরে দাখিল পরীক্ষার জন্য ১৫ ছাত্রী নিবন্ধন করলেও, তাদের কেউ নির্ধারিত দিনে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এর মধ্যেই বাল্যবিয়ে হয়ে যাওয়ায় গত ১৪ নভেম্বর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তারা।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশেরা গ্রামের বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিষয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দুর্বল নজরদারিকে অভিযুক্ত করছেন অনেকে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সংকটে মাদ্রাসাটির কার্যক্রম চলছে ধুঁকে ধুঁকে। এমপিওভুক্ত না হলেও পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে পুরো কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। এরপরও চলতি বছরের শুরুতে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে ১৫ ছাত্রী। তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের বলে জানা গেছে। পরীক্ষার আগে মাদ্রাসার সুপার ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবেশপত্র দিয়ে আসেন। কিন্তু, পরীক্ষার দিনে একই উপজেলার প্যারাবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ওই ছাত্রীদের কেউ উপস্থিত হয়নি।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রসার সুপার আব্দুর রউফ জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীরা অনুপস্থিত থাকায় বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। এরপর খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, করোনাকালে ১৫ ছাত্রীর সবার বিয়ে হয়ে গেছে। তারা এখন সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা।