বেনাপোল বন্দর দিয়ে এলো আরও ২০০ টন অক্সিজেন
ভারত থেকে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আরও ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন এলো বেনাপোল বন্দরে। আজ বুধবার দুপুরে ১৫তম চালানে ১০টি কনটেইনারে করে এলো এ তরল অক্সিজেন (এলএমও)।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১৫ বারে রেলযোগে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় তিন হাজার ১৬ মেট্রিক টন এলএমও। বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্তের উদ্দেশে ছেড়ে যায় আজ বিকেলে। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে খালি ট্রেনটি আবার একই পথে ফিরে যাবে ভারতে। ট্রেন থেকে লরিতে করে তরল অক্সিজেন খালাস করে সড়ক পথে লিনডের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর প্রক্রিয়াজাত করে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে।
রেলের পাশাপাশি সড়ক পথেও ট্যাংকারে করে আমদানি হচ্ছে অক্সিজেন। গত ২১ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক পথে আমদানি হয়েছে সাত হাজার ২৩২ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আ. জলিল জানান, গত এপ্রিল মাসে ভারতে করোনা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারণ করায় চিকিৎসা খাতে দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট। ফলে ২১ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশে অক্সিজেন রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসায় ২১ জুন থেকে তারা আবারও অক্সিজেন রপ্তানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজজামান জানান, দেশে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২৪ জুলাই থেকে রেলযোগে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ আজ ৮ সেপ্টেম্বর ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে ভারতে থেকে। ১৫টি চালানে লিনডে বাংলাদেশ নামে আমদানিকারক তিন হাজার ১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দর হয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সরকারি রাজস্ব পরিশোধের পর আজ বিকেলেই সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।