ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচ মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অজ্ঞাত সাড়ে ছয় হাজার জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে অপর মামলাটি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আহসান হাবীব। এ ছাড়া, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) এক কর্মকর্তা অজ্ঞাত সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর।
গতকাল সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
ডিআইজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, ভূমি অফিস, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এখানকার প্রতিটি ঘটনার জন্যই মামলা হবে। আমরা গতকাল এখানে বিভিন্ন জায়গায় যে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ হয়েছে, সেগুলো পরিদর্শন করছি, দেখছি। এটা একেবারেই হৃদয়বিদারক। আমাদের একটি থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে একটি একাডেমি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে গত রোববার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকেরা বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে।
ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এসব বিষয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল থেকে রোববার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া একটি মন্দিরের প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়।