‘ভাইয়ের সাথে ছিলাম কিন্তু ভাইকে বাঁচাইতে পারি নাই’
‘ভাইয়ের সাথে ছিলাম কিন্তু আমার ভাইকে আমি রাখতে পারি নাই, বাঁচাইতে পারি নাই। আমার সামনে আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হাসমত কিসমত আলামিন হান্নান অনিক ডলি ইব্রাহিম কুপিয়ে মারছে।’
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখি মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জানাজা শেষে দাফনের সময় কাঁদতে কাঁদতে যুবদল নেতা মাহবুব আলমের বড় ভাই মহিবুর রহমান একথা বলেন।
জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন নিহত মাহবুব আলম। শত্রুতার জেরে যুবদলনেতা মাহবুব আলমকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হাসমতসহ তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার সিংড়াটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আড়াইহাজার থানা পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামি হাসমত পলাতক।
আজ বুধবার তাঁর জানাজায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও নিহত মাহবুব আলমের বড় ভাই মহিবুর রহমানসহ জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা।
জানাজা শেষে পাঁচরুখি কবরস্থানে যুবদল নেতা মাহবুব আলমকে দাফন করা হয়। দাফনের সময় নিহত মাহবুব আলমের বড় ভাই মহিবুর রহমান আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ভাইয়ের সাথে ছিলাম কিন্তু আমার ভাইকে আমি রাখতে পারি নাই, বাঁচাইতে পারি নাই। আমার সামনে আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হাসমত কিসমত আলামিন হান্নান অনিক ডলি ইব্রাহিমরা গেট লাগিয়ে কুপিয়ে মারছে। মারার সময় ছাড়াতে গেলে আমার বড় ভাইকে আঘাত করেছে, আমাকে আঘাত করছে। আমরা অনেক চেষ্টা করছি ভাইকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু পারি নাই। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে। এই রমজান মাসে পরিকল্পিতভাবে যুবদল নেতা মাহবুব আলমকে হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর নিজ ইউনিয়নে মাহবুবের বাড়ি। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মাহবুবকে হুমকিধমকি দিয়ে আসছিল বিএনপিতে সক্রিয় থাকার কারণে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি হাসমতসহ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা একসাথে হয়ে তাকে কালিবাড়ি বাজার থেকে ধরে নিয়ে হাসমতের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেট লাগিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।