ভাঙ্গুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ২৩ দিন পর মামলা
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রলীগ ও বিএনপির সমর্থক মিলে এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের ঘটনার ২৩ দিন পর ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার সকালে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকালে কিশোরীর বাবা ছাত্রলীগনেতা আব্দুল আলিম, বিএনপির সমর্থক দুলুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেন্দা মাস্টারপাড়া মহল্লার পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম (৩০), ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বিএনপির সমর্থক দুলু (২৮) এবং চাটমোহর রেলবাজার এলাকার কিশোরীর কথিত চাচাতো ভাই রানা (২১)।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা ও বিএনপির সমর্থক দুলু ওই কিশোরীকে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ করেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। তাদের এই স্বীকারোক্তির একটি অডিও ক্লিপ ও একটি ভিডিওচিত্র সংবাদকর্মীদের কাছে সংরক্ষিত আছে। তবে অপর অভিযুক্ত রানা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ওই কিশোরী তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ভাঙ্গুড়া শিশু কুঞ্জ পার্কে বেড়াতে আসে। এ সময় রানা তার পূর্ব পরিচিত অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেতা আলিম ও দুলুর সঙ্গে কিশোরীকে পরিচয় করিয়ে দেন। তারা চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে কৌশলে কিশোরীকে ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজারের গরুহাটা কেজি স্কুল সংলগ্ন পৌর ছাত্রলীগের অফিসে নিয়ে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। ধর্ষণের কথা বললে কিশোরীকে তাকে মেরে ফেলারও ভয় দেখায়।
কিশোরী বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানালে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত রোববার সকালে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় শঙ্কায় পড়েছে ধর্ষিতার পরিবার।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘মেয়ের বাবা বাদী হয়ে গত রোববার সকালে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’