ভৈরবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই কর্মবিরতি পালন করে ভৈরব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
এই কর্মবিরতির ফলে দপ্তরে আসা উপকারভোগীদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ। অনেক উপকারভোগী দপ্তরে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক পদমর্যাদা না থাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঠিক লক্ষ্যে বাংলাদেশ এখনো পৌঁছাতে পারেনি। তাই দেশের যেকোনো কঠিন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর আলোকে প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা পদে আপগ্রেডেশন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পদে আপগ্রেডেশন, সচিবালয়ের ন্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শূন্যপদ/পদোন্নতি/চলিত দায়িত্ব নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের-এ পাঁচটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে উক্ত অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ১০ বছর ধরেই সুশৃঙ্খল আন্দোলন করে আসছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যদি এর মধ্যে যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের অধীন পদগুলো যুগোপযোগী করে আপগ্রেডেশন করা হলেও তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মচারীদের পদ অদ্যবধি আপগ্রেডেশন করা হয়নি। ফলে এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে। যা আগামী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিরাট অন্তরায়।