ভৈরবে মৃত ডলফিন উদ্ধার, প্রাণিসম্পদ অফিস দায় চাপাল বন বিভাগের
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর পাড় থেকে ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। সেই ডলফিন নিয়ে বাধে বিপত্তি। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলে তা বন বিভাগের বলে দাবি করা হয়। আর বন বিভাগ বলছে—এটি কোনোভাবেই বন বিভাগের আওতায় পড়ে না। অবশেষে মৃত ডলফিনটিকে স্থানীয়দের হাতেই দেওয়া হয়। বলা হয় মাটি চাপা দিতে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের বাজার এলাকার মেঘনার নদীর পাড় সায়দুল্লাহ মিয়ার ঘাট থেকে এ ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসীরা জানায়, সন্ধ্যায় পৌর শহরের নদীর পাড় এলাকায় সায়দুল্লাহ মিয়ার ঘাটে একটি ডলফিন মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আনে। ডলফিনটির দেহ ক্ষত-বিক্ষত ছিল। পরে প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে তা হস্তান্তর করা হয়। এসময় প্রাণিসম্পদ অফিস কর্তৃপক্ষ প্রথমে ডলফিনটিকে বনবিভাগের বলে দাবি করে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. সাইফুল আজম বলেন, ‘ডলফিনটি কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারা যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ডলফিনটি মূলত বন বিভাগের আওতায় পড়ে। কিন্তু ডলফিনটি মৃত বলে বন বিভাগও বলেন, সেটি অবমুক্ত করার কোন প্রক্রিয়া নেই বরং এটিকে মাটিচাপা দিয়ে দিলেই ভালো হয়। তখন বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এটাকে মাটিচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের দায়িত্ব দেওয়া হয়।’
ভৈরব বন বিভাগের কর্মকর্তা বজলুর রহমান বলেন, ‘ডলফিনটি বন বিভাগের আওতায় পড়ে না। তবুও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে উভয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সেটি মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’