ভৈরবে ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ : বঙ্গবন্ধু হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু হলরুমে প্রজেক্টরে বড় পর্দায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সরকারের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভৈরব উপজেলা প্রশাসন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দেখানো হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পৌর মেয়র আলহাজ ইফতেখার হোসেন বেনু, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক সামসুজ্জামান বাচ্চু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা, ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ, চেম্বার সভাপতি আলহাজ মো. হুমায়ূন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, একাডেমিক সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অতিথি বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো এবং ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে জাতিসংঘ। মাথা পিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনীতি—এই তিন সূচককে বিচার করা হয় একটি দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে। একটি দেশকে এই সূচকের অন্তত দুটিতে উন্নতি করতে হয়। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র প্রথম দেশ হিসেবে তিনটি সূচকেই সাফল্য অর্জন করে পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে।
২০২১ সালে একদফা পর্যবেক্ষণের পর ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ আধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উন্নত দেশে উন্নীত করার কঠিন পথের অভিযাত্রী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নাদর্শের আলোকে আলোকিত হয়ে এগিয়ে চলেছেন।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করা শেখ হাসিনার একমাত্র লক্ষ্য।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ ও বিশ্বের নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল পুরো পৃথিবীর কাছে। একটি দেশের সব মৌলিক অধিকারের সূচকে দেশ উন্নত হয়েছে। এখন চলছে টেকসই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। সেখানেও ইতোমধ্যে দেশ বেশ উন্নতি করেছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। বেড়েছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি-সবক্ষেত্রে উন্নতির পাশপাশি বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাংলাদেশ কারও মুখাপেক্ষী নয়। হুকুম চলে না কোনো বৃহৎ শক্তির।
আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে শিল্পীদের হাতে সম্মানসূচক পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।