ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে যানজটের ভোগান্তিতে যাত্রীরা
মহাসড়ক ঘেঁষে শতাধিক অবৈধ বাস কাউন্টার এবং ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। সেইসঙ্গে রয়েছে হাজার হাজার সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সীমাহীন দৌরাত্ম্য, আর পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের নৈরাজ্য।
সব মিলিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয়মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে নির্ধারিত বাস টার্মিনাল থাকার পরেও মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ বাস কাউন্টার। কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রী ওঠানামার জন্য দাঁদিয়ে থাকে বাস। ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের।
ঢাকা-ভৈরব-সিলেট, ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভৈরব একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। ওই সব মহাসড়কসহ এখান থেকে আঞ্চলিক আরও অর্ধশত সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। চলাচল করে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রোডের মৈত্রী বাস।
যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব বাসমালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ মহাসড়ক ঘেঁষে শতাধিক অবৈধ কাউন্টার, ফুটপাত দখল করে দোকান, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যকে দায়ী করেন।
জালাল আহমেদ বলেন, ‘এসব দূর করতে হলে সব পক্ষকে এক টেবিলে বসিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। একজন আইন ও নিয়ম মানবে, অন্য কেউ মানবে না—এভাবে সমাধান হবে না; পরিকল্পনা যে তিমিরে আছে, সেই তিমিরেই ঘুরপাক খাবে।’
ট্রাফিক পরিদর্শক মো. আবেদ আলী মহাসড়কের যানজট নিরসনে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, রাস্তার ওপর অবৈধ টিকেট কাউন্টার, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডকে দায়ী করেন। তিনি যানজট নিরসনে এসব অব্যবস্থাপনার দ্রুত অবসান চেয়েছেন।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’র ভৈরব শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পর্ষদের কার্যকরি সদস্য মো. আলাল উদ্দিন জানান, পরিবহণ সেক্টরের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা জড়িত। যতদিন না রাজনৈতিকভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে, ততদিন দুর্জয় মোড়ের যানজট দূর হবে না।