ভোটারদের দ্বারে দ্বারে আইভী-তৈমূর, নানা প্রতিশ্রুতি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপিনেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। প্রতিদিন জনসংযোগ, সভা করছেন তাঁরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। নৌকার প্রার্থী ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলছেন, পুনরায় নির্বাচিত হলে পরিবেশ উন্নয়নের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলছেন, সিটি করপোরেশনের কাজ অনেক, তিনি নির্বাচিত হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে নগর উন্নয়নের জন্য। আর পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড উপহার দিতে চান কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
আজ শুক্রবার সকালে জামতলার ১৩ নং ওয়ার্ড মসজিদ রোড এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী গণসংযোগ করেন। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান তার কর্মী-সমর্থকরা।
আইভী বলেন, নৌকার জোয়ার বইছে। জনগণ উন্নয়ন চায়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে জনগণ। তিনি বলেন, এডিবি ৮০০ কোটি টাকা দিয়েছে সেই কাজ চলমান রাখবেন তিনি। সবচাইতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য। খাল, পুকুর, মাঠ, পার্ক ও ওয়াসার উন্নয়ন করা হবে।
অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সিদ্ধিরগঞ্জের ৬ নং ওয়ার্ডের বিহারি ক্যাম্পে গণসংযোগ করেন। তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের কাজ অনেক। তার উদ্দেশ্য নগরবাসীকে সেবা দেওয়া, শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক পরিবেশ গড়ে তোলা।
তৈমূর জানান নির্বাচিত হলে তিনি দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনায় মাস্টার প্ল্যান করবেন। শীতলক্ষ্যার পানি জনগণের ব্যবহার উপযোগী করা হবে। সামাজিক সমস্যা দূর করা হবে। বেকারদের কর্ম সংস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও। সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও লিফলেট বিলি করছেন। তারাও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
ভোটারদের মধ্যে আলোচনা, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে সেলিনা হায়াৎ আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে। ভোটাররা বলছেন সৎ যোগ্য ও ভালো লোককে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
২৭টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ভোটার ও দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার রয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ১৬ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট।