মহানবী (সা.) সব মানুষের কল্যাণে পৃথিবীতে এসেছিলেন : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, মহানবী (সা.)-এর আগমন সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য ছিল রহমতস্বরুপ। তিনি সব মানুষের কল্যাণে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তিনি প্রত্যেক ধর্মের লোককে সম্মান দিয়েছেন। তিনি কাউকে অসম্মান করেননি।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাইকোর্টের মাজার মসজিদ আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপী বিশেষ ওয়াজ, মিলাদ, জিকির ও দোয়া মাহফিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের হাইকোর্টের মাজারে সব ধর্মের লোক আসে এবং মানত করে থাকেন। এখানে এসে প্রত্যেকে উপকৃত হোন। এখানে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের লোকই আসে না। বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের লোক এখানে আসেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমি একবার ইন্ডিয়া গিয়েছিলাম। সেখানে এক হিন্দু অফিসারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে বলেন, আপনাদের দেশে হাইকোর্টের মাজার চিনেন, আমি বললাম আমি সেই মাজার কমিটির সভাপতি। তিনি আমাকে বলেন, আমি সেখানে গিয়ে মানত করেছিলাম, এবং উপকৃত হয়েছি। তাই আমি বলব, এই মাজারে শুধু মুসলমান নয় বরং দেশ বিদেশের সব ধর্মের মানুষ এখানে আসে। সব ধর্মের লোকের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। কেননা সবার নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, মহানবী (সা.)-এর জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তাঁর জীবন অনুষরণ করলে পৃথিবীতে কোনো অশান্তি থাকবে না। প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন যা হচ্ছে তা কখনো কাম্য নয়। সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো ভিন্ন ধর্মকে কটাক্ষ বা হেয় করার শিক্ষা দেয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট মাজার ও মসজিদ প্রশাসন কমিটির সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান, বিচারক শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান, বিচারক তেহসিন ইফতেখার প্রমুখ।