মাছ, মুরগি ও ডিমে বাড়তি দাম

রাজধানীর বাজারে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ভরা মৌসুমেও মধ্যবিত্তের নাগালে আসছে না ইলিশ। ভোজ্যতেল ও চিনির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি আট থেকে ১২ টাকা। আর মাসের শুরু থেকে বেড়ে চলেছে মুরগি ও ডিমের দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্যই জানা গেছে।
রাজধানীর মাছের বাজারে যেন আগুন। স্বল্প আয়ের মানুষজন তাই সচেতনভাবেই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে মাছের বাজার। বাজারে বড় কিংবা ছোট সব মাছেরই দাম বাড়তি। কেজিপ্রতি কোনো মাছের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা, কোনোটির আবার ২০০ টাকা। আর ভরা মৌসুমেও মধ্যবিত্ত মানুষজনের নাগালে আসছে না ইলিশ মাছের দাম।
এক মাছ বিক্রেতা জানালেন, মাছের দাম গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা জানান, মাছের দাম বেশি। রুই-কাতলা মাছ কেজিতে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে তিনি কিনেছেন।
আরেক ক্রেতা বলেন, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য সময় যেসব ছোট মাছ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি কিনতাম আজ তা ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি।
স্বস্তি নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও। ভোজ্যতেল গত সপ্তাহে প্রতি লিটার ছিল ১৩৮ টাকা, তা এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪৬ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা দরে। আর কয়েক মাস ধরে চিনির দামে যে ঊর্ধ্বগতি, তা যেন থামছেই না। উল্টো বেড়েই চলেছে এর দাম।
এক দোকানদার জানালেন, গত সপ্তাহে পাঁচ লিটারের রূপচাঁদা তেল ৬৮০-৯০ টাকা ছিল আজ তা ৭৩০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ সময় এক ক্রেতা জানান, আগের থেকে তেলের দাম বাড়তি। আগে যে তেলটা ৬৫০ টাকায় কিনতাম আজ সেটা ৭১০ টাকা হয়ে গেছে।
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে আরও ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগিও মিলছে না ১৫০ টাকার নিচে। একই সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের ডিমের দামও।
তবে স্বস্তির খবর হলো, গেল সপ্তাহের চেয়ে বাড়েনি চাল, গরু বা খাসির মাংস ও সবজির দাম।