মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাদক নিয়ন্ত্রণে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, একটি মাদকমুক্ত জাতি গঠনে সরকার বদ্ধপরিকর। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য দেশের সব শ্রেণি- পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের (ওয়েসিস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রিভারভিউ আবাসিক এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের এ মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মধ্যে পড়বে। মাদকসেবীদের স্বাভাবিক জীবনের ফিরিয়ে আনতে পরিবার থেকে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি উদ্যোগ নিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের কথা দিয়েছে, টিকা তৈরি করতে সব ধরনের সাপোর্ট দেবে। আমাদের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব। করোনা মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতার পরিচয় দিতে পেরেছি। একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকা দিতে পেরেছি। পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো এটি করতে পারেনি। সামনে বিজয় দিবসেও ৮০ লাখেরও বেশি টিকা একদিনে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা থেকে মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার সব ব্যবস্থা আমরা করেছি। যত টাকাই লাগে দেশের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা আনতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছি আমরা। আমরা প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। টিকা নিলে করোনায় আক্রান্ত হলেও অন্তত মৃত্যু ঘটে না। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। ফলে আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।