মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রহণ করেননি আদালত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা গ্রহণ করেননি আদালত।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সাম জগলুল হোসেনের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক। মামলা দায়েরের পর ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচারক মামলাটি না নিয়ে বাদীকে ফেরত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমলযোগ্য ধারার মামলা সাধারণত থানায় দায়ের করতে হয়। এ ছাড়া এ ঘটনা নিয়ে সার্বক্ষণিক বিভিন্ন আইন সাহায্যকারী সংস্থা মনিটরিংয়ে আছে। তাই এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করতেন। তাই বিচারক মামলার দরখাস্ত গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার মামুনুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।
ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত সোমবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে ওই দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তিনজনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরজি থেকে জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, ‘ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্বর হবে।’
সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা করে উত্তেজনাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।