মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
সাবেক হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
নবম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় মাওলানা মামুনুল হককে। আজ সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আনা হয়।
মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পাঁচজনকে সমন দেওয়া হয়েছিল। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাঁকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছিল। আজ সমন পাওয়া পাঁচ জনের মধ্যে সোনারগাঁ থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক ও বাদী ঝর্ণার বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিব জানান, এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীরা বলেছেন মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাড়িওয়ালা ও পুলিশ কর্মকর্তা দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামুনুল হককে মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ন্যায়বিচার হলে তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। আদালত আগামী ৬ জুন শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাঁকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তাঁর সঙ্গে থাকা ওই নারী (ঝর্ণা)। কিন্তু মাওলানা মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।