মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিতে নতুন দৃষ্টান্ত : আ স ম রব
নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার ঘটনাকে প্রতিহিংসার এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার মুক্তি দাবি করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘সরকার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় গোপন অভিসন্ধি পূরণে বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের সাথে যে ধরনের অন্যায় আচরণ করছে, প্রতিশোধ এবং জিঘাংসাকে রাজনৈতিক পরিসরে যেভাবে বণ্টন করছে, তা প্রজাতন্ত্রের জন্য খুবই কলঙ্কজনক।’
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, গ্রেপ্তার করা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জামিন প্রাপ্তির মৌলিক অধিকারকে বারবার অগ্রাহ্য করে আইনের শাসন ও সংবিধানকে অসহায় করার মাধ্যমে সরকার নিজেকে চরম কর্তৃত্ববাদী করে তুলছে। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা না করে, রাষ্ট্রীয় বল প্রয়োগ করা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বেরই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
জাসদের নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতা ধরে রাখতে বিরোধীদের হত্যা করা, ষড়যন্ত্র করে গায়েবি মামলায় আসামি করা, পুলিশের উপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা এবং দীর্ঘদিন অন্তরীণ রাখাসহ মধ্যযুগীয় নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সরকারের ঘৃণ্য অপসংস্কৃতি দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। অতীতের দলীয় স্বৈরাচার, সামরিক আইন জারির বিভীষিকা, কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সায় গণতন্ত্র এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হননের অনিবার্য পরিণতিতে শাসকদের রক্তাক্ত পতন থেকে কোনো শাসক শিক্ষা লাভ করছে না।
দুই নেতা আরও বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গণশাসনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রবিনির্মাণ করার রাজনীতি হাজির করাই আমাদের সকলের রাজনৈতিক কর্তব্য।