মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি রিমান্ড শেষে কারাগারে
রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মিয়া এই আদেশ দেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তাঁর পক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আগামীকাল রোববার জামিন শুনানির দিন নির্ধারণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিআরও আরো বলেন, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টট্র আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান। আজ এ রিমান্ড শেষ হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাতের একটি ফ্লাইটে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।
গত ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে রণাঙ্গনের জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে গেলে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে কিছু সময়ের জন্য ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান ২৬ নভেম্বর রাতে ২০-২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪৭৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদক