মেট্রোরেলের আরও আট কোচ ও চার ইঞ্জিন মোংলায়
মেট্রোরেলের সপ্তম চালানে আটটি রেলওয়ে কোচ ও চারটি ইঞ্জিনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে জাপান থেকে আসা জাহাজ এসপিএম ব্যাংকক মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে।
এদিকে জাহাজটি থেকে তিনটি মেট্রোরেলের কোচ নামানো হয়েছে। বাকিগুলো আগামীকাল বুধবার নামানো হবে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট।
বিদেশি জাহাজ এসপিএম ব্যাংককের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান জানান, গত ২ ডিসেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ঢাকা মেট্রোরেলের আটটি রেলওয়ে কোচ, চারটি ইঞ্জিন ও ৪৪ প্যাকেজের ৪৯০ মেট্রিক টন ওজনের মেশিনারি পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসা এসপিএম ব্যাংকক আজ দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে। এরপর ৮ নম্বর জেটিতে অবস্থানরত ওই জাহাজটি থেকে তিনটি কোচ নামানো হয়েছে। বাকি কোচ ও ইঞ্জিনসহ অন্যান্য মালামাল আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে পুনরায় খালাসে কাজ শুরু করা হবে। জাহাজ থেকে খালাস করে এসব পণ্য বার্জে (নৌযান) নামানো হচ্ছে। বার্জে করেই এসব মালামাল ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে নেওয়া হবে।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন জানান, গত ৩১ মার্চ ঢাকা মেট্রোরেলের সর্ব প্রথম চালানে ছয়টি কোচ/বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে এসপিএম ব্যাংকক। এরপর ধারাবাহিকভাবে ৫ মে এম.ভি ওশান গ্রেস জাহাজে ছয়টি কোচ, ২০ জুলাই এম.ভি হরিজন-০৯ জাহাজে ১০টি কোচ ও দুটি ইঞ্জিন, ১২ সেপ্টেম্বর চারটি কোচ ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে এম.ভি প্রেসার্স কোরাল, ২ অক্টোবর চারটি ইঞ্জিন ও আটটি কোচ নিয়ে এম.ভি এসপিএম ব্যাংকক ও ১২ নভেম্বর চারটি কোচ ও দুইটি ইঞ্জিন নিয়ে এম.ভি ব্রাইট কোরাল এ বন্দরে আসে।
হারবার মাস্টার বলেন, ‘অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গেই আমরা মেট্রোরেলের এ মালামাল খালাস ও পরিবহণে সর্বাত্মক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শুধু মেট্রোরেলই নয়, এছাড়া পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু রেল সেতুসহ দেশের চলমান মেগা প্রজেক্টের পণ্য আসছে এ বন্দর দিয়েই। এতে বন্দরের সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে এ বন্দরের ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্যতাও।’