মোহনপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রথম নারীর মৃত্যু
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে প্রথম এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে তথ্য গোপন করে পেট ব্যথার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন পূর্ণিমা রানী পূর্ণি (৩৪)। ভর্তির পর চিকিৎসা দিতে এসে চিকিৎসক পূর্ণিমার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কিন্তু রোগীর অভিভাবকেরা পূর্ণিমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে গড়িমসি করতে থাকেন। এভাবেই কাটতে থাকে সময়। রাত ২টার পর পূর্ণিমার মৃত্যু হয়।
পূর্ণিমা রানী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট গ্রামের খড়পট্টি এলাকার সুকুমারের স্ত্রী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবারের এক সদস্য জানান, পূর্ণিমা কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানায় ভুগছিলেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুল কবির বলেন, গভীর রাতে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু স্বজনরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যায়নি।
ডা. আরিফুল কবির বলেন, সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মৃত পূর্ণিমার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করার পর জানা যাবে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ছিল কি না।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মদ জানান, মৃত নারী বাইরে থেকে আসেননি। তিনি বাড়িতেই ছিলেন।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনডোরে চিকিৎসাধীন ছয়জন রোগীর মধ্যে চারজন ছুটি নিয়ে চলে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।