মৌলভীবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ দোকান পুড়ে ছাই

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়িসহ ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ঠাকুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজারের নৈশপ্রহরী মসজিদের মাইকে বিষয়টি জানান। এলাকাবাসী আগুন দেখে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে তারা দেরি করে ঘটনাস্থলে আসে। আসার পর পানির পাম্প চালু করতে না পারায় আগুন দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। পরে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক, কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঠাকুরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জইনউদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন, রফিক মিয়াসহ শতাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এত বেশি ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে কয়েকদফা ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন ধরেনি। পরে স্থানীয় শুকুর মোল্লা তাদের অফিসে গিয়ে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, ‘আমরা ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আমাদের আরো আগে জানালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো কমানো যেত।’
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল কাদির বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের পানির পাম্পটি হঠাৎ চালু না হওয়ায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। আগুনের সূত্রপাত ও ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’