রংপুর সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমন সব অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর শাখা।
আজ বুধবার রংপুর নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্রের দ্বারা বর্তমান সিভিল সার্জন নিয়ন্ত্রিত। এই চক্রে পড়ে তিনি রংপুরের বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।’
ডা. মামুন বলেন, ‘মন্ত্রী, সচিবের নির্দেশে স্বাস্থের ডিজি গত ২৫ মে সারা দেশে লাইসেন্স নবায়ন, সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নোয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনার জন্য কঠোর নির্দেশ দেন। গত ২৫ মে থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস পার হলেও সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ নিবন্ধিত ৫১ ক্লিনিক এবং ৬৪ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে গুটি কয়েক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবায়নের জন্য ডিজি হেলথ অফিসে সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে অনেক হসপিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, যাদের আবেদন থাকা সত্ত্বেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সিভিল সার্জন কখনও ভিজিট করেননি। এ অবস্থায় বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা একদিকে যেমন প্রচণ্ড আর্থিক ঝুঁকির মুখে পড়েছে, তেমনি বিনিয়োগকৃত পুঁজি হারাতেও বসেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সামসুর রহমান কোয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান রনি ও খন্দকার মাহমুদ এলাহী বিপ্লব।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। এগুলো চক্রান্ত। আমি এসব বিষয়ে আগামী রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব।’