রাজশাহীর চারঘাটে মানসুর রহমান (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে গলাকেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। নিজ ঘরে চুরি করতে দেখে ফেলায় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

নিহত মানসুর রহমান উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিহত মানসুরের প্রতিবেশী রোমান হোসেন সেতু (২১) ও আকাওয়াদ হোসেন শাওন (২৭)।

আজ শুক্রবার রাতে রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক খুনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল চুরির উদ্দেশ্যে কেউ তাঁকে হত্যা করেছে। সে অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গত বুধবার সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। অর্থের লোভে তারা বৃদ্ধ মানসুরকে হত্যা করেন। দুজনই বখাটে ও বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

 ইফতেখায়ের আলম জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন মানসুর রহমান। এ সুযোগে ঘটনার দিন তাঁর বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে ওই দুজন। সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে রোমান হোসেন সেতু। আর শাওন বাসার বাইরে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে মানসুর তাঁর রুমের দরজা খুলে বাথরুমের দিকে গেলে সেতু ঘরে ঢুকে মূল্যবান সামগ্রী খুঁজতে থাকেন। বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দেন মানসুর। এ সময় সেতু তাঁকে জাপটে ধরেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাঁর হাতে থাকা ‘এন্টি কাটার’ দিয়ে বৃদ্ধ মানসুরের গলা কেটে পালিয়ে যান।